অনলাইন
ডেস্ক,
যারা তাকদিরের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে, তাদের জন্য রয়েছে অসংখ্য সুসংবাদ। নিম্নে এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তুলে ধরা হলো।
জান্নাতের সুসংবাদ :-
যারা তাকদিরের ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকে, তাদের আত্মা কবজের সময় মৃত্যুর ফেরেশতাগণ জান্নাতের সুসংবাদ দান করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে প্রশান্ত আত্মা! ফিরে চলো তোমার প্রভুর পানে, সন্তুষ্টচিত্তে ও সন্তোষভাজন অবস্থায়। অতঃপর প্রবেশ করো আমার বান্দাদের মধ্যে এবং প্রবেশ করো আমার জান্নাতে’। (সুরা : ফাজর, আয়াত : ২৭-৩০)
ক্ষমা ও রহমত লাভের সুসংবাদ :-
তাকদিরের ফায়সালা মেনে নেওয়ার বড় পুরস্কার হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও রহমত লাভের সুসংবাদ। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তুমি সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপর কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তাঁর দিকেই ফিরে যাব। তাদের ওপর তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে রয়েছে অফুরন্ত দয়া ও করুণা এবং তারাই হলো সুপথপ্রাপ্ত’। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৫-১৫৭)
ঈমানের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদনের সুসংবাদ :-
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সে ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পেরেছে, যে আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বিন হিসেবে এবং রাসুলকে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছে’। (মুসলিম, হাদিস : ৩৪)
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুসংবাদ :-
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই বড় পরীক্ষায় বড় পুরস্কার রয়েছে। আল্লাহ তাআলা যখন কোনো জাতিকে ভালোবাসেন, তখন তাদের পরীক্ষায় ফেলেন। ফলে তাতে যে সন্তুষ্ট হবে, তার জন্য (আল্লাহর) সন্তুষ্টি রয়েছে। আর যে (আল্লাহর পরীক্ষায়) অসন্তুষ্ট হবে, তার জন্য রয়েছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি’। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪০৩১)
দোয়া কবুলের সুসংবাদ :-
ইবনুল জাওজি (রহ.) বলেন, ‘আমি এক বিস্ময়কর ব্যাপার দেখেছি যে কোনো মুমিনের ওপর বিপদ নেমে আসার পর সে দোয়া করে, অনেক বেশি করে আল্লাহর কাছে চাইতে থাকে। কিন্তু কবুলের কোনো লক্ষণ দেখতে না পেলে প্রায় আশা ছেড়ে দেওয়ার উপক্রম হয়, তখন আল্লাহ তার অন্তরের দিকে দৃষ্টি দেন। যদি সে আল্লাহর ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকে, তাঁর অনুগ্রহের ব্যাপারে নিরাশ না থাকে, তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আল্লাহ তৎক্ষণাৎ তার ডাকে সাড়া দেন’। (সায়দুল খাতির : পৃ. ১৩৮)
বেতনা নিউজ
২৪ /অ/ডে/